ভূমিকাঃ
১৯৮৪ সালে দুইজন বিজ্ঞানী নিয়ে এ বিভাগের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে অনুমোদিত ৭ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে ৪ জন বিজ্ঞানীর উপস্থিতিতে গবেষণা কার্যক্রম চলমান। প্রতিকূল আবহাওয়া, খরা, লবণাক্ততার ঝুঁকি এবং ভূগর্ভস্থ পানি নিম্নমুখি প্রবণতা (যা বোরো চাষের মূল উৎস) ইত্যাদি চ্যালেঞ্জমূলক পরিস্থিতিতে কৃষি প্রকৌশল বিভাগের ভুমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
অভিলক্ষ্য / ফাংশন:
এ বিভাগের কাজগুলি নিম্নরূপ:
(ক) মাটি ও পানির বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল ও ফলপ্রসূ কৃষি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপুর্ন ব্যবহার করা। ফসলের ফলন বৃদ্ধি ও গুণগতমান উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন (সেচ, নিষ্কাশন, পানি ব্যবস্থাপনা, এবং খরা, লবণাক্ততা ও পরিবর্তিত জলবায়ু উপযোগী সেচ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তি ) ।
(খ) স্নাতকোত্তর গবেষণা সুবিধা প্রদান
গবেষণা কার্যক্রমঃ
Research project and Program (2017-2018)
Project 1 : Drought Screening and Irrigation Management for Field crops.
Exp. 1 : Evaluation of some Aus and Aman rice mutants (M4) for different 'soil moisture
stress'/'drought tolerance level' (in Lysimeter/Pot culture).
Exp. 2 : Irrigation management for some Aus and Aman rice mutants (M4) under field
condition.
Exp.3 : Irrigation management for Mustard at Nalitabari.
Exp.4 : Irrigation management in Onion cultivation for higher yield and water
productivity.
Project 2. : Drainage management for sesame.
Expt.5 : Response of sesame cultivars to different drainage provisions
Project 3 : Studies on groundwater recharge at Ishwardi Area using tracer and other
advance techniques for sustainable use of groundwater.
Exp.6 : Quantifying natural groundwater recharge using tracer technique and water balance
method.
Project 4 : Studies on Groundwater Dynamics in Barind area (Greater Rajshahi Region)
for Sustainable Water Management.
Exp. 7 : Studies on groundwater dynamics in Barind areas.
Exp. 8 : Monitoring groundwater table fluctuation at BINA HQ and its substations.
Project 5 : Studies on groundwater quality for safe use in irrigation and drinking
purpose in Chapai Nawabgonj District.
Exp. 9 : Investigation of groundwater quality at Chapainawabgonj Sadar Upazila.
Project 7 : Climatic variation and its impact on crop yield and water resources.
Exp.10. : Crop foretelling/Forecasting based on meteorological data.
Project 8 : Development of appropriate irrigation management. strategy for increasing
Soybean yield in saline area.
Expt.11. Irrigation management and chemical amendment for soybean cultivars under saline
condition.
Project 9: Landscape salinity management (FAO-IAEA/CRP/BGD-17732; with Soil Sci. Div.).
Exp.12. : Effects of different irrigation approaches on wheat production under
different salinity level in Bangladesh.
Expt.13. : Effects of Irrigation Management and amendments in Boro rice under
Saline condition (Lysimeter study).
জনবলঃ
পদবী | অনুমোদিত পদ | প্রেষণ | শুন্যপদ | বর্তমানে কর্মরত |
সি এস ও | ১ | ১ | - | - |
পিএস ও | ১ | - | - | ১ |
এস এস ও | ২ | ১ | ১ | - |
এস ও | ৩ | - | - | ৩ |
এএসও | ৩ | - | - | ৩ |
এসএ | ২ | - | ২ | - |
এলএ | ১ | - | ১ | - |
মোট | ১৩ | ২ | ৪ | ৭ |
প্রকল্পঃ
Research Projects (2017-2018)
Project 1 : Drought Screening and Irrigation Management for Field Crops.
Project 2.: Drainage management for sesame.
Project 3 : Studies on groundwater recharge at Ishwardi Area using tracer and other advance techniques for sustainable use of groundwater.
Project 4 : Studies on Groundwater Dynamics in Barind Area (Greater Rajshahi Region) for Sustainable Water Management.
Project 5 : Studies on groundwater quality for safe use in irrigation and
drinking purpose in Chapai Nawabgonj District.
Project 6 :Climatic variation and its impact on crop yield and water resources
Project 7 : Development of appropriate irrigation management. strategy for increasing Soybean yield in saline area.
Project 8 :Landscape salinity management (FAO-IAEA/CRP/BGD-17732;
with Soil Sci. Div.).
Project 9: Groundwater resources management for sustainable crop production in northwest hydrological region of Bangladesh (PBRG project, NATP-2)
অর্জিত সাফল্যঃ
সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রযুক্তি/তথ্য:
ক্র. নং | প্রযুক্তির নাম: | প্রধান বৈশিষ্ট্য/ বিস্তারিত বর্ণনা | চাষবাদের উপযোগী এলাকা | ||||
১ | লবনাক্ত এলাকায় গম চাষে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা |
১) ৭-৮ ডিএস/মিটার মাত্রার লবনাক্ত পানি ও পুকুরের (বৃষ্টির জমাকৃত) পানির পর্যায়ক্রমিক সেচ এবং ৯০% অতিরিক্ত জিপসাম সার প্রয়োগের মাধ্যমে গমের ফলন ৩.৫ – ৪.০ টন/হেক্টর পাওয়া গেছে। ২) ১০-১২ ডিএস/মিটার মাত্রার লবনাক্ত পানির ৩টি সেচ এবং ৯০% অতিরিক্ত জিপসাম সার প্রয়োগের মাধ্যমে গমের ফলন ২.৫ – ৩.০ টন/হেক্টর পাওয়া গেছে। |
সাতক্ষীরা অঞ্চলের লবনাক্ত জমি (2016-17) | ||||
২ |
বরেন্দ্র অঞ্চলে স্বল্প সেচে শস্য পরিক্রমা: রোপা-আমন (বিনাধান-৭) - রবি (গম/সরিষা/ছোলা)- খরিফ-১ (মুগ/তিল) সর্বাধিক লাভজনক শস্য পরিক্রমা: বিনাধান-৭ - বিনাছোলা-৪ বিনামুগ-৫ |
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির প্রাপ্যতার নিরিক্ষে স্বল্প সেচে রোপা-আমন ভিত্তিক একটি শস্য পরিক্রমা উদ্ভাবন করা হয়েছে: রোপা-আমন (বিনাধান-৭) - রবি (গম/সরিষা/ছোলা)- খরিফ-১ (মুগ/তিল) সেচের সূচি: বিনাধান-৭: সেচ বিহীন গম: ৩ টি সেচ (বপনের ২০-২৫, ৪০-৪২, ও ৬০-৬২ দিন পর) সরিষা:২টি সেচ (বপনের ২০ ও ৪৫ দিন পর) ছোলা:খড়ের মালচিং বা ১টি সেচ (বপনের ২০ দিন পর) মুগ/তিল:১টি সেচ (বপনের ২০- ২৫ দিন পর) |
রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী; চাপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর এবং অনুরূপ এলাকা | ||||
৩ | ET0 এর ট্রেন্ড | জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কিত তথ্য উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ইভাপট্রান্সপিরেশন (ET) উপযোগী । এই গবেষণাটি সনাক্ত করে যে ১২ মাসের মধ্যে ১১ মাসের মধ্যে ET0 কমে যাচ্ছে। বাতাসের গতি, উজ্জ্বল সূর্যালোকের সময়কাল এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধির কারণে বর্ধিত প্রবণতা (তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে) অব্যাহত হতে পারে; | ময়মনসিংহ অঞ্চলের ব্যবহৃত ডাটা (১৯৯১-২০১৫) | ||||
৪ | ময়মনসিংহ অঞ্চলের গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জ | ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে (ময়মনসিংহ) ট্রেসার টেকনিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ওয়াটার-ব্যালেন্স এবং লাইসিমিটার পদ্ধতির মাধ্যমে নির্নয় করা হয়। তিন বছরের গড় রিচার্জ হার ২২৮.৭ মিমি / বছর ট্রেসার পদ্ধতিতে পাওয়া যায়; এবং ১৪১.৭ মিমি জল ব্যালেন্স পদ্ধতির অধীনে। Lysimeter পদ্ধতি নিম্ন হার দেখিয়েছে, ক্ষেত্র থেকে উপরিভাগের বৈচিত্র্যের কারণে হতে পারে। গবেষণার প্রাপ্তফলাফল সংশ্লিষ্টএলাকায় স্থায়ী ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনার জন্য সহায়ক হবে। | ময়মনসিংহ | ||||
৫ | ভূগর্ভস্থ পানির মান (quality) মূল্যায়ন | প্রাপ্ত ফলাফল থেকে নির্দেশ করে যে, অধিকাংশ ভূগর্ভস্থ জলীয় নমুনার ক্যাটায়ন এবং আয়নের সঞ্চারগুলি অনুমোদিত সীমার মধ্যে রয়েছে। বরিশাল ব্যতীত পানির লবণাক্ততা এবং সডিসটিটির বিবেচনা করে সেচের জন্য উপযুক্ত। আয়রনের বিবেচনায় সকল উপকেন্দ্রের পানীয় জল উপযুক্ত ব্যতীক্রম শুধু বরিশাল ও সুনামগন্জ উপকেন্দ্রে। | বিনা উপকেন্দ্রসমুহ | ||||
৬ | লাভজনক এবং পানি সাশ্রয়ী শস্য বিন্যাস (ময়মনসিংহ ও মাগুরা এলাকার জন্য) |
ময়মনসিংহে: ময়মনসিংহে শস্যবিন্যাস: রূপা আমন (বিনাধান-৭)- সরিষা (বিনাসরিষা-৮)- বোরো থেকে বর্তমান কৃষকের শস্যবিন্যাস: রোপা আমন পতিত বোরো অপেক্ষা ৩৭% অধিক ফলন পাওয়া যায় এবং ৫% পানি সাশ্রয় হয়। রোপা আমন: ২টি পরিপূরক সেচ সরিষা: ১টি সেচ (৩-৪ সে.মি.) ২০-২৫ দিন পর বোরো ধান: এ. ডাবলু. ডি. (AWD) পাঁচ দিন পর মাগুরা: মাগুরাতে রোপা আমন (বিনাধান-৭)- মুসুর (বিনামুসুর-৪)- তিল (বিনাতিল-২) শস্যবিন্যাসে বর্তমানে কৃষক কর্তৃক চাষাবাদকৃত শস্যবিন্যাস: রোপা আমন - পতিত - বোরো ধান অপেক্ষা ৯৪% অধিক ফলন (ধান সমতুল্য ফলন) পাওয়া যায় এবং ৪৪% পানি সাশ্রয় হয়। রোপা আমন: ২টি সম্পূরক সেচ মুসুর: ১টি সেচ (৩ সে.মি.) ৩০ দিন পর তিল: ১টি সেচ ২৫ দিন পর। |
ময়মনসিংহ (ফুলপুর, তারাকান্দা), মাগুরা (সদর) | ||||
৭ | বরেন্দ্র অঞ্চলে রবি ও খরিফ শস্যের জন্য সেচ এবং মাটির আদ্রতা ব্যবস্থাপনা |
রবি: স্বল্প পানিং চাহিদাযুক্ত রবি শস্যে-২টি সেচ (ভেজিটেটিভ ধাপে ও ফুল আসার সময়) অথবা মাল্চিং ও ১টি সেচ প্রয়োগে সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়। খরিফ: বিনামুগ-৫ বপনের পূর্বে বা পরে ১টি সেচ এবং পরবর্তিতে ফুল আসার সময়ে ১টি সেচ প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। |
রাজশাহী অঞ্চল | ||||
৮ |
বরেন্দ্র অঞ্চলে আমন ধানের সরাসরি বপন |
বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষকের চাষ পদ্ধতি, অর্থা দেশী লাঙ্গলের সাহায্যে জমি চাষের পর সরাসরি জমিতে বীজ ছিটিয়ে বপন করলে শক্তির সাশ্রয় হয়। আমনের পর গম এবং মুগ চাষের ক্ষেত্রে দেশী লাঙ্গলে চাষের পর মালচ প্রয়োগ করলে মৃত্তিকা পানি সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এবং সম্পদ ব্যবহারে ও ফলন বৃদ্ধিতে কার্যকরী। |
বরেন্দ্র অঞ্চল |
||||
৯ |
লবনাক্ত এলাকায় সূর্যমুখী, ভূট্টা এবং সয়াবীন চাষে সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা | দেশের উপকূলীয় বিশাল এলাকা সেচের পানির অভাব ও লবনাক্ততার জন্য পতিত থাকে। তাই ভূ-উপরিস্থিত এবং ভূ-নিম্নস্থ সেচ পানির যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শস্যের উৎপাদন ও নীবিড়তা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা হিসেবে সূর্যমুখী, ভূট্টা এবং সয়াবীন শস্যের উপর গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা গেছে যে: রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে প্রায় ৪ হতে ৭ ডিএস পার মিটার মাত্রার লবনাক্ততার মাটিতে এবং ৪ হতে ৫ ডিএস পার মিটার মাত্রার ৩ হতে ৫ টি ভূ-উপরিস্থিত বা ভূ-নিম্নস্থ সেচ পানির প্রয়োগে সূর্যমুখী, ভূট্টা ও সয়াবীন এর ২.৭৫, ৬.৩ ও ১.৬০ টন/হেক্টর ফলন হয়েছে যার BCR ১.৭৮, ২.৩৩ ও ১.৬০ | সাতক্ষীরা সহ উপকূলীয় অঞ্চলের লবনাক্ত জমি | ||||
১০ | লবনাক্ত এলাকায় রবি শস্যে পানি এবং চাষ ব্যবস্থাপনা | লবনাক্ত এলাকায় বিনা সরিষা-৫, বিনাছোলা-৪ ও বিনা টমেটো-৪ চাষের জন্য ৫০ সেমি. প্রস্থ তলায়/ জমিতে বীজ বপন ও তদসংলগ্ন লাঙ্গলের দ্বারা কৃত ক্ষুদ্র পানি দ্বারা লিচিং ও সহগ সহ সেচ প্রদানের মাধ্যমে সন্তোষজনক ফলন পাওয়া যায়। | লবনাক্ত উপকূলীয় এলাকা | ||||
১১ | লবনাক্ত এলাকায় রবি শস্য চাষের জন্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণে পুকুর ও জমির অনুপাত নির্ণয | ২.৫ মিটার গভীরতার পুকুর ও জমির অনুপাত ১:২০ হলে রবি ও খরিপ-১ মৌসুমে দু-একটি সেচ দিয়ে সরিষা ও তিল আবাদ করা সম্ভব। | উপকূলীয় লবনাক্ত এলাকা | ||||
১২ | অর্থ সাশ্রয়ী / কম মূল্যের রেইজড-বেড লাইসিমিটার ডিজাইন ও তৈরী | খরচ সাশ্রয়ী রেইজড- বেড লাইসিমিটার ডিজাইন ও তৈরী করা হয়েছে , যাতে মেইনটেনেন্স সুবিধা বেশী ; এবং মাটির নিম্নস্থ লাইসিমিটারের সুবিধা সমূহ এতে বিদ্যমান। তাছাড়া এটিতে কাজের সুবিধা বেশী। | কোন অঞ্চলের জন্য সীমাবদ্ধ নয় | ||||
১৩ |
ফসলের ফলন ও অর্থনৈতিক আয় সার্বাধিকরনের নিমিত্তে সেচের পানি ব্যবহারের মাত্রা নির্নয়ের গাণিতিক কৌশল নির্নয় | উক্ত প্রক্রিয়ার জন্য ফসলের ফলনের ফাংশন, খরচের ফাংশন, এবং আউটপুটের বাজারমূল্য জানা প্রয়োজন হয়। |
কোন অঞ্চলের জন্য সীমাবদ্ধ নয় |
||||
১৪ | মডেলের দক্ষতা মূল্যায়নের সূচক উদ্ভাবন | কৃষির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কম্পিউটার মডেলের দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য একটি সূচক (indicator) উদ্ভাবন করা হয়েছে । | কোন অঞ্চলের জন্য সীমাবদ্ধ নয় | ||||
১৫ |
ভূ-গর্ভস্থ পানি স্তরের অবস্থা ও ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস |
শুষ্ক মৌসুমে বোরো ধান চাষে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যাপক উত্তোলনের ফলে দেশের বিভিন্ন সেচ এলাকায় পানি স্তর (Water table) ক্রমান্বয়ে নেমে যাচ্ছে। ভূ-গর্ভস্থ পানি স্তরের দীর্ঘ মেয়াদী তথ্য বিশেষণ এবং মডেল স্টাডি মাধ্যমে ইহার বর্তমান ও ভবিষ্যত ধরন এবং পরিমান নির্ণয করা হয়েছে। বগুড়াঃ বেশিরভাগ কূপ/ অবস্থানের মধ্যে, WT গভীরতা এবং বৃষ্টিপাতের তীব্রতা ধীরে ধীরে হ্রাস হয়। ২০২০, ২০৪০, এবং ২০৬০-এর সময়কালে WT গভীরতার পূর্বাভাসটি যে ইঙ্গিত দেয় যে, কিছু ক্ষেত্রে, গভীরতা প্রায় ২০৬০ সালের মধ্যে দ্বিগুণ হবে, বর্তমান পতনশীল প্রবণতা বিবেচনা করে এই ফলাফলটি দেখা যাচ্ছে যে, ভূগর্ভস্থ জলের টেকসই ব্যবস্থাপনায়, ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র পরিবেশগত, সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবগুলি এড়াতে বা কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। রাজশাহীঃ রাজশাহী জেলার নলকূপের পানিস্তর ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে। বর্তমান উত্তোলনের ধারা অব্যাহত থাকলে কিছু নলকূপের পানিস্তর ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন গভীরতায় এবং প্রায় সকল নলকূপের পানিস্তর ২০৫০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন গভীরতায় নেমে যাবে। পানি উত্তোলনের এ অবস্থা চলতে থাকলে তা পরিবেশ ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ হবে। |
রাজশাহী জেলা | ||||
ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ জেলার অধিকাংশ এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তর ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে যাচ্ছে, এবং শুকনো মৌসুমে তা স্যালো টিউবওয়েল (STW) এর পাম্প ক্ষমতার সীমার নীচে (>৭ মি.) নেমে যাচ্ছে। বর্তমান উত্তোলনের ধারা অব্যাহত থাকলে কিছু নলকূপের পানিস্তর ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন গভীরতায় এবং প্রায় সকল নলকূপের পানিস্তর ২০৫০ সালের মধ্যে বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন গভীরতায় নেমে যাবে। পানি উত্তোলনের এ অবস্থা চলতে থাকলে তা পরিবেশ ও খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে হুমকি স্বরূপ হবে। |
ময়মনসিংহ জেলা | ||||||
দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁ জেলায় পানিরস্তর স্যালো টিউবওয়েলের পাম্পক্ষমতার সীমার মধ্যে রয়েছে এবং এসব অঞ্চলে স্যালো টিউবওয়েল ব্যবহারের কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু দিনাজপুর জেলার কিছু উপজেলায় পানিস্তর STW এর সীমার নীচে নেমে যায়, অধিকিন্তু বর্ষা মৌসুমে শেষে তা প্রায় পূর্ণভরাট হয়ে যায়। |
দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা | ||||||
ঢাকা শহর ঢাকা শহরে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তর দ্রুত নীচে নেমে যাচ্ছে (১৯৮৮ থেকে ২০০৪ সালের তথ্যানুযায়ী)। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে- মিরপুর এলাকায়, যেখানে উল্লেখিত ১৭ বৎসরে নিম্নগামী হয়েছে ৪৬ মিটার (১৯৮৮ সালে ১৪.২ মিটার থেকে ২০০৪ সালে ৬০.৫ মিটার)। কম্পিউটার মডেল (MEKESENS) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্তমান উত্তোলন হার অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে আরও ৯-২৫ মি. নীচে নেমে যেতে পারে। যার ফলে কিছু নলকূপ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে (যেগুলোর পাম্প ৭০ মি. মধ্যে রয়েছে)। |
ঢাকা শহর | ||||||
১৬ | বিনাশাইল ধান চাষে পরিপূরক সেচ | ময়মনসিংহ এবং জামালপুর এলাকায় আমন মৌসুমে বিনাশাইল চাষে কোন পরিপূরক (বৃষ্টিপাতের অতিরিক্ত) সেচ প্রয়োজন হয় না। রংপুর এবং ঈশ্বরদী এলাকায় বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে একটি সেচ দেয়া যেতে পারে। | ময়মনসিংহ, জামালপুর, রংপুর এবং ঈশ্বরদী | ||||
১৭ | বিনাধান-৭ চাষে জমি পর্যায় ক্রমিক ভিজা এবং শুকনা পদ্ধতিতে সেচ | বিনাধান-৭ চাষে ভাল ফলনের জন্য জমিতে অনবরত পানি দাঁড়ানো রাখার প্রয়োজন নেই। সেচকৃত পানি (৫ সে.মি.)অদৃশ্য হাবার ৫ দিন পর সেচ দিলে পানি অনবরত দাড়ানো রাখার চেয়ে ৫৭% পানি কম এবং ৩ দিন পর সেচের চেয়ে ২৮% পানি কম লাগে কিন্তু ফলনে উল্লেখযোগ্য তারতম্য হয় না। | ঈশ্বরদী, মাগুরা ও ময়মনসিংহ | ||||
১৮ |
বিনাধান-৬, বিনাধান-৮ এবং বিনাধান-১০ চাষে পানি ব্যবস্থাপনা |
ধান চাষে জমিতে পর্যায়ক্রমে সেচ প্রয়োগ (৫ সে.মি.) ও সেচের পানি চুয়ে/শেষ হওয়ায় ৫-৭ দিন পর পুনরায় সেচ প্রয়োগ করলে এতে “সব সময় ধান ক্ষেতে পানি রাখার” তুলনায় শতকরা ৪০ ভাগ পানি বাঁচানো যায় এবং এতে ফলনে তেমন পার্থক্য হয় না। | ময়মনসিংহ | ||||
১৯ | ধানের জমিতে নাইট্রেড লিচিং (চুয়ানো) | পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ধানের জমিতে অনবরত পানি ধরে রাখলে বেশী নাইট্রেড নীচের দিকে চুয়ে যায়। অন্যদিকে, পর্যায়ক্রমে পানি ভর্তি ও পানি শুকিয়ে যাওয়ার ৩-৫ দিনপর পুনরায় সেচ দিলে কম নাইট্রেড চুয়ায়। | ময়মনসিংহ | ||||
২০ | ধানগাছ কর্তৃক আর্সেনিক শোষণ এবং মাটি উদ্ভিদে আর্সেনিকের স্থানান্তর | পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, ধান গাছ আর্সেনিকযুক্ত মাটি বা সেচের পানি থেকে আর্সেনিক শোষণ করে। গাছের মূল, কান্ড এবং শস্য দানায় আর্সেনিকের সঞ্চয়ের পরিমান বিভিন্ন মাত্রায় হয়। সবচেয়ে বেশী মাত্রায় সঞ্চিত হয় মূলে, তারপর শস্য দানায়। ইরাটম-২৪ ও ব্রিধান-২৮ নিয়ে পরীক্ষায় দেখা যায়, ইরাটম-২৪এ আর্সেনিক সঞ্চয়ের পরিমান ০-০.১৪ মি.গ্রা./ কেজি এবং ব্রিধান-২৮ এ আর্সেনিক সঞ্চয়ের পরিমান ০-০.০৭ মি.গ্রা/কেজি। তাছাড়া দেখা যায় যে, প্রত্যেক জাতের ক্ষেত্রে আর্সেনিকের প্রভাবে ধান গাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয় এবং ফলন কম হয়। |
পট পরীক্ষন (Pot experiment) |
||||
২১ |
আর্সেনিক লঘুকরণ পদ্ধতি: আর্সেনিক মুক্ত স্তরে স্যালো টিউবওয়েল স্থাপন |
যে এলাকায় পানিতে আর্সেনিক আছে (স্বল্প গভীর স্তরে) সেখান গভীর স্তরে বা আর্সেনিকমুক্ত স্তরে নলকূপ স্থাপন করে আর্সেনিকমুক্ত পানি পাওয়া যেতে পারে। |
চরসিরতা, ময়মনসিংহ সদর, এবং অনুরূপ স্তর বিশিষ্ট এলাকা | ||||
২২ | গম চাষে ঘাটতি/ অপর্যাপ্ত (deficit) সেচ কৌশল |
গম পর্যায়ক্রমে “সেচ-ঘাটতি-সেচ” (বপনের ২০-২৫ দিন ও ৬২-৬৫ দিন পর সেচ) প্রয়োগ করলে মোটামুটি ভাল ফলন (৩.৪ টন/হে:) পাওয়া যায় এবং পূর্ণ সেচের চেয়ে ৫১% পানি সাশ্রয় হয়। তাছাড়া: ১) যদি ১টি সেচ দেয়ায় পানি/সুযোগ থাকে তবে বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে। ২) যদি ২টি সেচের সুযোগ থাকে তবে বপনের ২০-২৫ দিন এবং ৬২-৬৫দিন পর সেচ দিতে হবে। ৩) যদি ৩টি সেচের সুযোগ থাকে তবে বপনের ২০-২২, ৪২-৪৫ এবং ৬২-৬৫দিন পর সেচ। |
ঈশ্বরদী | ||||
২৩ |
গমের Yield Sensitivity index |
গমের প্রাথমিক, সর্বোচ্চ কুশি পর্যায়, বুটিং-হেডিং এবং ফুল আসা নরম দুধ অবস্থায় Yield response factor (Ky) যথাক্রমে ০.২৭, ০.২১ ০,২৫ ও ০,১৭। জেনসেন মডেলের Sensitivity index উক্ত বৃদ্ধি পর্যায়গুলোতে যথাক্রমে ০.৩৫, ০.২২, ০.৩১ এবং ০.১৪। অধিক স্পর্শকতর বৃদ্ধি পর্যায়ে উক্ত সহগের মান অধিক। তাই গমের প্রাথমিক এবং বুটিং হেডিং পর্যায়ে সেচ/ পানি সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ। |
ঈশ্বরদী | ||||
২৪ | গমের ক্রপ কো ইফিসিয়েন্ট | ফসলের বিভিন্ন (চারটি) ক্রমবর্ধমান পর্যায়ে ক্রপ কো ইফিসিয়েন্ট মান নির্নয় করা হয়। | ঈশ্বরদী | ||||
২৫ |
আলুর সেচসূচী (কার্ডিনাল) | রংপুর এলাকায় আলু ফসলে ২টি সেচ (১টি লাগানোর ৩০-৩৫ দিন পর, অন্যটি ৬০-৬৫ দিন পর) প্রয়োগ করে বিনা সেচের তুলনায় শতকরা ৪৫ ভাগ বেশী ফলন পাওয়া যায়। | রংপুর অঞ্চল | ||||
২৬ |
মুসুরে সেচ ব্যবস্থাপনা | মাটিতে সংরক্ষিত আদ্রতা/ মৃত্তিকাপানি মুসুর উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট। তবে বপনের সমশয় মাটি শুষ্ক হলে (আদ্রতা ২৫% এর নীচে হলে) বপনের পূর্বে সেচ প্রয়োগের পর জো আসলে বপন করতে হবে- অথবা বপনের পর সেচ প্রয়োগ করতে হবে। বাড়তি সেচে মুসুরের ফলন কমে যায়। | ঈশ্বরদী অঞ্চল | ||||
২৭ |
সরিষার (অগ্রণী, সফল) জন্য সেচসূচী (ঈশ্বরদী-২১) |
ময়মনসিংহ ময়মনসিংহ এলাকায় বপনের ৩৫-৪০ দিন পর ১টি (৩ সে.মি.) সেচ প্রয়োগে সেচ বিহীন চাষের চেয়ে ২০-৩০% অধিক ফলন পাওয়া যায়। জামালপুর ও ঈশ্বরদী জামালপুর ও ঈশ্বরদী এলাকায় বপনের ২৫-৩০ দিন পর একটি (৪-৫ সে.মি.) এবং ৬৫-৭০ দিন পর আর একটি (৪-৫ সে.মি.) সেচ প্রয়োগে সেচ বিহীন চাষের চেয়ে ২০-৩০% অধিক ফলন পাওয়া যায়। |
ময়মনসিংহ, জামালপুর ও ঈশ্বরদী এলাকা | ||||
২৮ |
আখের জলাবদ্ধতা সহ্য ক্ষমতা | আখের জাত ঈশ্বরদী-২১ (ISD-২১) এর জলাবদ্ধতা সহ্য ক্ষমতা রয়েছে। যেসমস্ত এলাকায় ৬০ দিন পর্যন্ত জলাবদ্ধতা থাকে, সে সমস্ত এলাকায় এ জাতটি চাষ করা যাবে। | লাইসিমিটার, ময়মনসিংহ | ||||
২৯ |
ছোলার সেচসূচী(হাইপ্রোছোলা, বিনা ছোলা-২) | ঈশ্বরদী: বপনের ২৫-৩০ দিন পর ১টি সেচ (৫ সে.মি)দিলে বিনা সেচের চেয়ে ২০% অধিক ফলন পাওয়া যায়। |
|
||||
ময়মনসিংহ: বপনের ২৫ দিন পর ১টি সেচ দিলে বিনা সেচের চেয়ে ২৫% অধিক ফলন পাওয়া যায়। এই সময়ের মধ্যে বৃষ্টিপাত হলে (৩-৫ সে.মি)কোন সেচের প্রয়োজন নেই। | ময়মনসিংহ | ||||||
৩০ |
টমেটো চাষে সেচসূচী (বাহার, বিনাটমেটো-২, বিনাটমোটো-৩) |
|
|
||||
৩১ |
ঈক্ষুর সেচসূচী (ঈশ্বরদী-১৬) | রোপনের ২৪ ঘন্টার পর ১টি (৫ সে.মি.), ৩০-৪০ দিন পর ১টি এবং ৯০-১০০ দিন পর ১টি (১০ সে.মি) সেচ প্রয়োগ করলে বিনা সেচের চেয়ে ৩০% অধিক ফলন পাওয়া যায়। | ঈশ্বরদী | ||||
৩২ |
গমের (কাঞ্চন, বলাকা) সেচসূচী | বপনের ২০-২৫ দিন পর ১টি এবং ৫০-৬০ দিন পর আরেকটি সেচ প্রদানে ৩০% অধিক ফলন পাওয়া যায়। | ঈশ্বরদী | ||||
৩৩ | বিভিন্ন ফসলের শস্য সহগ (Crop Coefficient) |
গম (শতাব্দি), ঈশ্বরদী: গমে প্রাথমিক, শস্য বৃদ্ধি পর্যায়, মাধ্যমিক পর্যায় ও শেষ পর্যায়ে শস্য সহগ যথাক্রমে ০.৭৭, ১.১৭, ১.৪১ ও ০.৮৯ |
ঈশ্বরদী | ||||
গম (কাঞ্চন), ময়মনসিংহ: গমে প্রাথমিক, শস্য বৃদ্ধি পর্যায়, মাধ্যমিক পর্যায় ও শেষ পর্যায়ে শস্য সহগ যথাক্রমে ০.৩০, ০.৭৫, ০.৮৫ ও ০.৫০ |
ময়মনসিংহ | ||||||
সরিষা (বিনা সরিষা-৩)- ময়মনসিংহ সরিষায় প্রাথমিক, বৃদ্ধি পর্যায়, ফুল আসা, পড বৃদ্ধি পর্যায়ে ও পাকা পর্যায়ে শস্য সহগ যথাক্রমে ০.৩৪, ০.৬৯, ০.৭২, ০.৪২ এবং ০,৭৪ |
ময়মনসিংহ | ||||||
টমেটা (বিনাটমেটা-৩) ময়মনিসংহ ও রংপুর: টমেটার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পর্যায়, ফুল আসা, ফল বৃদ্ধি ও ফল পাকা পর্যায়ে শস্য সহগ ময়মনসিংহের জন্য যথাক্রমে ০,৯৫, ১.৫৯, ১.৩৯, ০.৪২ এবং রংপুরের জন্য যথাক্রমে ০.৯৫, ০.৬৫ ০.৬৯ ও ০.৭০ |
ময়মনসিংহ ও রংপুর | ||||||
৩৪ |
সয়াবিনের জন্য সেচসূচী (জানুয়ারী-মে শস্যকাল) | সয়াবিনের জন্য ফুল আসা পর্যায়ে মৃত্তিকা-পানি সরবরাহ গুরুত্বপূর্ণ। ঈশ্বরদী এলাকার জন্য বীজ বপনের পর একটি সেচ, এবং প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে গাছের বৃদ্ধি পর্যায়ে ও ফুল আসা পর্যায়ে অর্থাৎ উক্ত সময়ে মৃত্তিকা রসের অভাব হলে ১টি সেচ দিতে হবে। | ঈশ্বরদী | ||||
৩৫ | ফসলের বাষ্পীয় প্রশ্বেদনে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তরের অবদান | ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তরের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে ফসলের পানির চাহিদা পূরেনে, যা সেচের সংখ্যা কমায়। ময়মনসিংহে ভূট্টা চাষে পানির চাহিদার প্রায় ৪০% চাহিদা মিটে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তরের ঊর্দ্বমুখী সঞ্চালনের ফলে। | ময়মনসিংহ | ||||
৩৬ | ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর পরিমাপের যন্ত্র উদ্ভাবন | স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে ভূ-গর্ভস্থ পানিস্তর পরিমাপের একটি যন্ত্র (Water Level Indicator) তৈরী করা হয়েছে, যার খরচ (২০০৩ সালের হিসাব) মাত্র ১,০০০ টাকা; যেখানে অনুরূপ কাজের জন্য বিদেশী যন্ত্রের দাম ২৫,০০০-৩৫,০০০ টাকা। | ময়মনসিংহ | ||||
৩৭ | স্বল্প খরচে সেচ নালা আস্তরণ | গ্রামঞ্চলে সবুজলতা বস্তু যেমন মাটি, গোবর, চালের কুড়া, ছাই ৩:১:১:১ অনুপাতে মিশিয়ে কাচা নালায় আস্তরণ দিলে আস্তরন ছাড়া এবং কমপেকশন ছাড়া নালার তুলনায়। | ময়মনসিংহ | ||||
৩৮ | প্রিকাষ্ট ফেরোসিমেন্ট সেচ নালা | প্রি-কস্ট ফেরিসমেন্টের সাথে একটি কম খরচে সেচ চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে। নির্মাণ ব্যয় ইটের তৈরি চ্যানেলের তুলনায় অর্ধেক। | |||||
৩৯ | ভূমিস্নস্থ পাইপে সেচের পানির বিতরণ/সঞ্চালন | ৯৩% সেচের পানি সাশ্রয় হয়। বিনা উপকেন্দ্র ঈশ্বরদীতে সারমারসিবল নলকুপের পানি বিতরনে ভূমিমস্থ পাইপ নেটওয়াক স্থাপন করা হয়েছে। এতে পানির প্রয়োগ দক্ষতা ৯৮-৯৯% পাওয়া গেছে। বিতরণ ব্যবস্থাটি ফসলে সঠিক পরিমাণ পানি প্রয়োগে সহায়ক। | ঈম্বরদী (বিনা উপকেন্দ্র) | ||||
৪০ | জলবায়ুর পরিবর্তন নিরুপণ | দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের (রাজশাহী, মাগুরা, ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা, ঈশ্বরদী, রংপুর ঢাকা এবং কুমিল্লা) দীর্ঘমেয়াদী (১৯৭৬-২০০৮) আবহাওয়ার বিভিন্ন উপাদান সমূহের (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, আদ্রতা, উজ্জ্বল সূর্যালোক ঘন্টা এবং বাতাসের বেগ তথ্য পর্যালোচনা করে মডেল (MEKESENS) দ্বারা আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ পরিবর্তনের মাত্রা/হার অঞ্চল ভেদে ভিন্নতর দেখা যায়। | রাজশাহী, মাগুরা, ময়মনসিংহ, সাতক্ষীরা, ঈশ্বরদী, রংপুর ঢাকা এবং কুমিল্লা | ||||
৪১ | ফসলের পানি চাহিদার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব । | ক্রপব্যাট মডেলের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর প্রভাবের প্রভাবটি ক্রোভওয়াট মডেলের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছিল। সিমুলেশন ফলাফল নির্দেশ করে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি 10% দ্বারা, ই.টি. দ্বারা 7.3% বৃদ্ধি করতে পারে। | দেশের বিভিন্ন অঞ্চল | ||||
৪২ | রেফারেন্স ইটি (ET) অনুমান করার জন্য FAO তাপমাত্রা পদ্ধতির অভিযোজন | ET0 অনুমানের জন্য FAO তাপমাত্রার পদ্ধতির কো-প্রোফাইলেস নির্ধারণ করা হয়েছে / নির্ধারণ করা হয়েছে (বিভিন্ন মাসের জন্য) বিভিন্ন অঞ্চলের জন্য FAO P-M পদ্ধতিতে। | দেশের বিভিন্ন অঞ্চল | ||||
৪৩ | আবহাওয়ার উপাদান থেকে সৌর কিরণের পরিমান নির্নয় |
দৈনিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, সর্বনিমণ তাপমাত্রা, সৌর কিরণ ঘন্টা, ও দিনের দৈর্ঘ্য থেকে দৈনিক সৌর কিরণের পরিমান নির্নয়ের গাণিতিক মডেল নিমণরুপ Rg= -11.7075+0.1112Tmax-0.1388Tmin+0.5720n+1.4251N |
ময়মনসিংহ এলাকা | ||||
৪৪ | তাপমাত্রা থেকে সৌরকিরণের পরিমান নির্নয় |
|
ময়মনসিংহ এলাকা` | ||||
৪৫ | দেশের মোট আউশ ধান উৎপাদন নির্নয়ের গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন করা হয়েছে | বৃষ্টিপাত, তাপীয় একক এবং চাষকৃত জমির তথ্য থেকে (বর্ণিত ১০ টি জোন ভিত্তিক) আউশ ধান উৎপাদনের পরিমান নির্নয়ের গাণিতিক/ ম্যাথ্যেম্যাটিক্যাল মডেল উদ্ভাবন করা হয়েছে | সমগ্র দেশ | ||||
৪৬ |
দেশের মোট আমন ধান উৎপাদন নির্নয়ের গাণিতিক মডেল উদ্ভাবন করা হয়েছে | বৃষ্টিপাত, তাপীয় একক (GDD)এবং চাষকৃত জমির তথ্য থেকে (বর্ণিত ১০ টি জোন ভিত্তিক) আমন ধান উৎপাদনের পরিমান নির্নয়ের গাণিতিক/ ম্যাথ্যেম্যাটিক্যাল মডেল উদ্ভাবন করা হয়েছে | সমগ্র দেশ | ||||
৪৭ | আবহাওয়া (সৌরকিরণ) ভিত্তিক সর্বোচ্চ ফলন নির্নয় | প্রাপ্য সৌরকিরণের সর্বোচ্চ-ব্যবহারে ফলন নির্নয় এবং শস্যের ফলন (ড্রাই মেটার) (২০০৪ সালের) থেকে দেখা যায় যে, প্রাপ্ত বিকিরণের সম্পূর্ণ ব্যবহার সম্বভ হলে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, ও রংপুর অঞ্চলে শস্যের মোট ড্রাই-মেটার যথাক্রমে ২৩০%, ২৬০%, ও ২৩৭% বৃদ্ধি করা সম্ভব। | ময়মনসিংহ, কুমিলস্না , রংপুর |
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
Title of the Projects:
Project No.
Project title
Project 1
Irrigation scheduling for increasing water productivity of cereal and non-cereal crops
Project 2
Water-table monitoring and rainfall-recharge studies for safe aquifer yield
Project 3
Monitoring of surface and ground water quality for irrigation suitability of different crops
Project 4
Studies on surface and groundwater pollution from agro-chemicals
Project 5
Studies on arsenic problem in irrigation water for sustainable agriculture
Project 6
Studies on micro-irrigation (Drip/Trickle, etc.) for low water demanding crops in water scarcity areas
Project 7
Studies on agro-meteorology for sustainable agriculture
Project 8
Water management and conservation practices for better cropping pattern in drought prone area
Project 9
Development of appropriate water management practices for increasing crop productivity in saline area
Project 10
Micro-catchment water harvesting in problem areas (e.g. salinity and drought) for supplemental irrigation
Project 11
Studies on renewable energy for irrigation